কাজী হাবিবুল আউয়াল নতুন সিইসি

সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।

শনিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অবসরে যান। তিনি ধর্ম, আইন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যান।

চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সন্তান কাজী হাবিবুল আউয়াল লেখালেখিও করেন। ‘জীবন পাতার জলছাপ’ ও ‘ট্রাজেকটরি অব এ জুডিশিয়াল অফিসার’ তার উল্লেখযোগ্য বই।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার।

ওই আইন প্রণয়নের পর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটি বৈঠক করে ধারবাহিকভাবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নাম নেন। একইসঙ্গে বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও তারা বৈঠক করেন। পাশাপাশি সরাসরি ও ইমেইলের মাধ্যমেও সার্চ কমিটির কাছে প্রায় পাঁচশজনের নাম জমা পড়ে।

প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে প্রথম দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি কেটেছেঁটে ৩২২ জনের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর প্রস্তাবিত আরও কিছু নাম যোগ হয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৯ জনে।

সার্চ কমিটি একাধিক দফায় বৈঠক করে এসব নাম থেকে প্রথমে ২০ জনের নাম এবং দ্বিতীয় দফায় সেটা ১২-১৩ জনে নিয়ে আসে। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে সার্চ কমিটি। সেখান থেকেই নতুন ইসি গঠন করে দিলেন রাষ্ট্রপতি।

সূত্র : ঢাকাটাইমস